নীলফামারী জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুদার রহমান মাসুদ সাধারণ সম্পাদক পদে বহাল থেকেই বিয়ে করেছেন। জেলা ছাত্রলীগের পদে থেকেও বিয়ে করায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বইছে সমালোচনার ঝড়। বৃহম্পতিবার (২৭ এপ্রিল) রাতে একেবারে জাঁকজমক অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন এই ছাত্রলীগ নেতা।
তার বিয়েতে নীলফামারী জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র দেওয়ান কামাল আহমেদ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ, সাবেক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আবুজার রহমান, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মসফিকুল ইসলাম রিন্টু, সাধারণ সম্পাদক আরিফ হোসেন মুনসহ আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী বিবাহিতদের বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কোনো পর্যায়ের কমিটিতে স্থান পাওয়ার কোনো বিধান নেই। গঠনতন্ত্রে আছে বিবাহিত, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী ব্যক্তি ছাত্রলীগের কমিটিতে থাকতে পারবেন না। কমিটিতে ঢোকার পর বিয়ে করার অভিযোগ উঠলে পদ বাতিলের কথাও বলা হয়েছে। কিন্তু অদৃশ্য ক্ষমতাবলে মাসুদ সরকারের পদ এখনো বহাল রয়েছে। এ নিয়ে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে জেলা ছাত্রলীগের মধ্যে।
২০১৭ সালের কমিটিতে সাধারণ সম্পাদক পদ পান মাসুদ। সেই কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও দেওয়া হয়নি নতুন কমিটি। এর ফলে তিনি এখনও তার পদে বহাল আছেন। জেলা ছাত্রলীগের দায়িত্বপূর্ণ পদে থেকেও বিয়ের বিষয়ে জানতে মাসুদ সরকারের মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হয়। তিনি ফোন রিসিভ করে সাংবাদিকের পরিচয় পেয়ে কলটি কেটে দেন। এরপর তিনি আর কল রিসিভ করেননি। এ বিষয়ে নীলফামারী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মনিরুল হাসান শাহ আপেল গণমাধ্যমকে বলেন, বিয়ের বিষয়টা সবাই জানে। এ বিষয়ে আমি আপাতত কেনো মন্তব্য করতে চাচ্ছি না।